নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাজাপ্রাপ্ত বাকী খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হলে যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে আগামী নির্বাচনে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে।
যুবলীগ স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল আন্দোলনেই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আগামীতেও যুবলীগকে আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করতে হবে। ১৯৭৫ সালে খুনী জিয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারবর্গকে হত্যা করা হয়। সেই সাথে রাজপথে প্রতিবাদ বন্ধ করতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
তারপরও যুবলীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে। আগামীতে নেতৃত্ব দানে সংগঠনটির প্রতিটি নেতাকর্মীকে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) বিকালে জাতির পিতার ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী-জাতীয় শোক দিবস ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিসহ ১৫ আগষ্ট নিহতদের স্মরণে হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালি জাতির মুক্তি ও অধিকার নিয়ে যে চিন্তা-ভাবনা করতেন তা তিনি জনগণকে বোঝাতে পেরেছিলেন। তিনি সাধারণ মানুষের সুখের জন্য রাজনীতি করতেন। এ কারণেই তিনি বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা হতে পেরেছিলেন।
জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, জাতীয় কমিটির সদস্য, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ ও তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজের পরিচালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মুক্তার হোসেন বেনু, জেলা তাতীলীগের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর যুবলীগের সভাপতি সফিকুজ্জামান হিরাজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ ইসতিয়াক রাজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুকিদুল ইসলাম মুকিদ, বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, চুনারুঘাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, লাখাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামূল মজিদ চৌধুরী শাকীল, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান আহমেদ খান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল রায়, বাহুবল উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান শাহেদ, মাধবপুর পৌর যুবলীগ সভাপতি সাব্বির হাসান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মুকিদ, বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তারা মিয়া, চুনারুঘাট পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ, উপ প্রচার সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিরাজ মিয়া, বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান নাসির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জয়নাল আবেদীন রাসেল, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সজল রায়, শাহ মোঃ আরজু, হাজী সামছু, সৌকত আকবর সোহেল, এসএম আব্দুর রউফ মাসুক, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল, গৌতম রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শামীম, মোতাহের হোসেন রিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আনিসুজ্জামান, আব্দুল হাকিম, শাহীন তালুকদার, রুহুল আমীন সিজিল, শাহ্ আলম ছিদ্দিকি, বিপুল রায়, মঈনুদ্দিন চৌধুরী সুমন, বদরুল আলম, এডভোকেট মহিউদ্দিন সোহেল, শাহরিয়ার চৌধুরী সুমন, এডভোকেট সুবল গোপ, মোঃ ফারুক মিয়া, সবুজ আহমেদ, মোঃ আলম, সৈয়দ শাহ দরাজ, মোঃ শাওন, পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি জাহির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ইকবাল হোসেন খান, আব্দুর রকিব রনি, দেলোয়ার খান, শান্তনু দাশ অলক, সজল খান, জুয়েলুর রহমান, আবুল কাশেম রুবেল, শাহ বাহার, রিতু মিয়া, রাহুল, শিমুল, জসিম, আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।